দিন দুপুরে সন্ত্রাসী হামলা করে সাথে থাকা ক্যামেরা, ল্যাপটপ, মোবাইল ও নদগ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় একদল সন্ত্রাসীরা। এনটিভির নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মহিবুর রহমান চৌধুরী তছনুকে বাড়ি থেকে জিআই পাইপ দিয়ে এলোপাতারি ভাবে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার বেগতীক দেখে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপালে প্রেরন করেন। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় হামলাকারী আবুল হোসেন (২৫) কে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। অভিযানকালে পুলিশ হামলার সময় ব্যবহৃত একটি ট্রাকটর আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ সাংবাদিক মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানাযায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এনটিভির সাংবাদিক মুহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু তার পেশাগত কাজে মোটরসাইকেল যোগে নিজ গ্রাম কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রাম থেকে মহাসড়কের বিজনার পাড়ে সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের কাজে যাওয়ার পথিমধ্যে নবীগঞ্জ- আউশকান্দি সড়কের ফুটারমাটি গ্রামের প্রবেশ মুখে হঠাৎ একটি ট্রাকটার যোগে ৫/৬ জন সন্ত্রাসী তার পথরোধ করে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সহ তাকে চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তছনু ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেলে ও কোন কিছু বুজে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা হাতে থাকা জিআই পাইপ দিয়ে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের আক্রমনে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার সাইট ব্যাগে থাকা একটি প্যানাসনিক এইস-ডি ক্যামেরা যার মূল্য ৩লক্ষ টাকা, ১টি ল্যাপটপ ৪০হাজার, ১টি ডিএসেলার ক্যামেরা, নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তছনুর আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় একই এলাকার এনাতাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের পুত্র আবুল হোসেন (২৫) কে স্থানীয় জনতা আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে নবীগঞ্জ থানার এস আই সুজিত চক্রবর্তী একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে জনতা হামলাকারী আবুল হোসেনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। অভিযানকালে পুলিশ হামলার কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাকটর আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে লোকজন তছনুকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা বেগতিক দেখে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
সাংবাদিক ও স্থানীয়দের ধারনা তছনুকে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে হত্যার উদ্যেশ্যে সু-কৌশলে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়ে ছিল। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন খাঁন বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক আমাদের পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার মুল হোতাকে গ্রেফতার করেছে এবং হামলাকারীদের ব্যবহৃত একটি ট্রাকটর জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়। হামলাকারী অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।